বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে, বিদেশে চিকিৎসায় ‘না’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:০৪

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আগের শর্তে ছিল- বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং দেশে চিকিৎসা নিতে হবে। এবারের আবেদনে বিদেশে নেয়ার বিষয়টি থাকলেও আইনি কোনো সুযোগ নেই। থাকলে আমরা বিবেচনা করতাম।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ষষ্ঠ বারের মতো বাড়ছে। মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হোক- এমন আবেদনে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এই মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগের বাড়ানো মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে একই শর্তে মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

‘আগের শর্তে ছিল- বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং দেশে চিকিৎসা নিতে হবে। এবারের আবেদনে বিদেশে নেয়ার বিষয়টি থাকলেও আইনি কোনো সুযোগ নেই। থাকলে আমরা বিবেচনা করতাম। আমার স্বাক্ষরের পর ফাইল ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে না।’

খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতকালীন মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ আবেদনের বিষয়ে মতামত দিতে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর এখন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে ছয় মাস করে পাঁচবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। প্রথম দফা মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে এলে ওই বছরের ২৫ পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়।

২০২২ সালে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন করে তার পরিবার। কিন্তু সরকার সেই প্রস্তাব আমলে না নিয়ে আরও তিন দফা মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। পঞ্চমবারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ সেপ্টেম্বর।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে তার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট।

এ ছাড়া একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর