চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক-স্টাফ বাসসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৭ জন করে দুই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় যে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা কারা সেটি জানেন না খোদ মামলার বাদীরাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দুটি মামলার একটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ। অপর মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক।
শনিবার রাতে হাটহাজারি মডেল থানায় তারা উপস্থিত হয়ে মামলা করেন। তবে মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও তারা আসামিদের নাম জানাতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কে এম নুর আহমদ বলেন, ‘আসামিদের নামগুলো আমি জানি না। আমি শুধু এজাহার দিয়েছি। বাকিটা পুলিশ তদন্ত করবে।’
অপর মামলার বাদী শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, তারা এজাহারে সই করে চলে এসেছেন। মামলার একটা কপি তাদেরকে দেয়ার কথা। কিন্তু সেই কপি তারা এখনও পাননি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখনও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি৷ মামলার অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।’
আসামিদের নাম জানতে চাইলে ‘মনে নেই’ বলে জানান ওই ওসি।
ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ তদন্ত কমিটিএদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, শাটল দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সে বিষয়ে জানাতে পারেননি তিনি।