যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর- মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছেন।’
নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের বিষয়ে শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সব ইচ্ছা তার (বাইডেন) রয়েছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ ছাড়াও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানিয়েছে ইউএনবি।
এ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি এ সময় সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মোমেন বলেন, ‘বাইডেন, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে নৈশভোজসহ দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে আলোচনার মাধ্যমে এটি স্পষ্ট যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের গভীর ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতে এটি আরও শক্তিশালী করব।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী ও এর জন্য তারা তাদের লোক পাঠাচ্ছেন এবং এ জন্য আলোচনা চলমান। তারা (যুক্তরাষ্ট্রের সরকার) আমাদের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করছে না, বরং আমাদের মিডিয়া তা করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠানস্থলে জো বাইডেন, শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ১৫ মিনিট আলোচনা করেন।
মোমেন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন, তখন তাকে খুব খুশি ও পুরোপুরি উৎসাহী দেখা গেছে। আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।’