রাজধানীর শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে শনিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পিওএমে সংযুক্ত করা হচ্ছে। তাকে পিওএমে সংযুক্তের বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হবে।’
এর আগে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের অভিযোগে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোববার এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা (ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর) যে করেছে, পুলিশ হোক, যেই হোক, যে অন্যায় করেছে তার শাস্তি হবে। কেন করেছে, কী করেছে, এটা আমরা তার কাছে জিজ্ঞাসা করি, তার এই ভুল কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এ দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। এর আগে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ছিলেন।
ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে যোগ দেন এ দুই নেতাও।
সূত্রটি জানায়, এডিসি হারুন পুলিশ ফোর্স এনে দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মারধরে গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাইম। বর্তমানে তিনি একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।