ভারতের দিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছালে তাকে লালগালিচায় স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
সরকারের এক কর্মকর্তা শনিবার ইউএনবিকে বলেন, ভারতে জি-২০ সফর শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট মাখোঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন তিনি।
১৯৯০ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরের পর মাখোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।
প্রেসিডেন্ট মাখোঁ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে রোববার রাতে অতিথির সম্মানে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তিনি।
উভয় নেতা কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সই ও যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন মাখোঁ।
ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিশেষ করে ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা সম্প্রসারণে উভয় পক্ষের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখে আমরা রোমাঞ্চিত।’
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর এ সফরে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ হবে।
১৯৯০ সালের শুরু থেকে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।
ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন প্রকৌশল, জ্বালানি, মহাকাশ ও পানি খাতসহ বিভিন্ন খাতে যুক্ত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকার আন্তরিকভাবে আশা করছে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকবেন ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন শেখ হাসিনা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।