বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জনগণের আওয়াজ রুখে দেয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:০১

গণমিছিল-পরবর্তী সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলন নস্যাতে সরকার চক্রান্ত করছে। তারা বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যত চক্রান্তই করুক, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব অনৈতিক কাজ করছে। তবে জনগণ যে আওয়াজ তুলেছে তা রুখে দেয়ার ক্ষমতা এ সরকারের নেই।’

সরকার পতনের এক দফা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত গণমিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলন নস্যাৎ করতে সরকার চক্রান্ত করছে অভিযোগ করে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে বুকে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে ভয়াবহ এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। যতই চক্রান্ত করুক, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে।’

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পৃথকভাবে গণমিছিল বের করে। মহানগরের দুই অংশের বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ-সংগঠনের ব্যানারে নেতাকর্মীরা এতে যোগ দেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেয়া নেতাকর্মীদের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা

মহানগর উত্তর বিএনপি রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে। মিছিলটি আবুল হোটেল, মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, মালিবাগ মোড়, শান্তিনগর, কাকরাইল হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে।

একই সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কমলাপুর থেকে মিছিল শুরু করে পীরজঙ্গি মাজার, আরামবাগ, ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে।

এরপর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ শুরু হয়। এতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা একে একে বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে মির্জা ফখরুল ডায়াসে দাঁড়ানোর আগেই বৃষ্টি শুরু হয়। এর মাঝেই বক্তব্য শুরু করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আপনারা ভিজছেন, কষ্ট করছেন। সামনে আরও কষ্ট হবে। এর মধ্যদিয়েই এ সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আজ রোদ-বৃষ্টির মধ্যে আপনাদের এ মিছিল প্রমাণ করে এ দেশের মানুষ এখন আর শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব অনৈতিক কাজ করছে। আজ এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ যে আওয়াজ তুলেছে, তা রুখে দেয়ার ক্ষমতা এ সরকারের নেই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। শান্তিপূর্ণভাবেই আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই।

‘দেশের মানুষের যে অবস্থা তা যদি সরকারের বোধগম্য হতো তাহলে তারা আরও আগেই পালাত। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা-গুম করে বিভিন্নভাবে বিপদে ফেলে সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাই এ সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ার সুযোগ নেই।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।

বিএনপির পাশাপাশি এদিন যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও রাজধানীতে একই কর্মসূচি পালন করে। এ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। ব্যস্ত সড়কে মিছিলের জন্য নগরীর অনেক জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ বিভাগের আরো খবর