মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় জাম্বুরা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে আলম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের মধ্যভাগ এলাকার নইনারপার বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
শিশুটির বাবা সোহেল মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি প্রথমে আমার জানা ছিল না। পরে আমার স্ত্রীর আমাকে জানায় এলাকার ৭০ বছর বয়সী কবিরাজ নামে পরিচিত আলম আমার মেয়েকে জাম্বুরা খাওয়ার লোভ দেখিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় বাজারে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যার বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। আলম আর এমন কাজ করবেন না বলে সাদা কাগজে সাক্ষর দিয়েছেন।’
এমন ঘটনায় একজন বাবার স্বভাবসুলভ আর্তনাদ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নই। আমি মামলা-টামলা করলেও তা চালানোর মতো ক্ষমতা আমার নেই। যার কারণে স্থানীয় চেয়ারম্যান যে বিচার দিবেন, আমার মেয়ের হয়ে আমি সেই বিচার মেনে নেব। আমি বিচার আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজীম উদ্দিন জানান, ‘জাম্বুরা খাওয়ানোর কথা বলে মেয়েটাকে ধস্তাধস্তি করে একটু আদর করেছেন আলম। এগুলো প্রমাণিত হয়েছে। আমরা স্থানীয়রা বিষয়টা নিয়ে আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার বাজারে বসেছিলাম। সেখানে চেয়ারম্যান আব্দাল হোসেন ও পুলিশের লোকও ছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই এলাকায় (বাজারে) তিন মাসের জন্য আলম কবিরাজ আসতে পারবেন না। তিনি যে তাবিজ-কবজ দেন, এলাকায় সেটাও করতে পারবেন না।’
একটা শিশুকে রুমে আটকে তার শরীরের গোপন বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করার প্রমাণিত হওয়ার পরও এ কেমন বিচার হল?- প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য আজীম বলেন, ‘চেয়ারম্যান বাকিটা জানেন। আমি বলতে পারব না।’
এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।