মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ তথা শিফটের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শনিবার সকালে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
তরুণ প্রজন্মের জন্য শিফট নির্মাণ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষাক্রম ও গবেষণায় ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেন অতিথিরা।
ওই সময় তারা দুর্নীতি রোধে শিফট স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিপ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রযুক্তির বিকেএসপি হিসেবে পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি গড়ে তুলবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘‘লার্নিং বাই ডুইং’ বা ‘এক্সপেরিয়েনশিয়াল লার্নিং’ শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে লার্নিং কমিউনিটিভিত্তিক ইনোভেশন কালচার চর্চার পাশাপাশি দেশের প্রথম জিরো ওয়েস্ট ও এনভায়রনমেন্টালি সাস্টেইনেবল ক্যাম্পাস হিসেবে শিফটকে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
‘‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় এখান থেকেই বিশ্ববরেণ্য প্রযুক্তিবিদ তৈরি হবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের। ৭০ একর জমির ২০ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে ভিশন ২০৪১ নামক ৪১ তলা বিশিষ্ট টাওয়ার। বাকিটায় গড়ে উঠবে শিক্ষাক্রম, গবেষণার জন্য ইনস্টিটিউট; থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেপ্লেক্সসহ নান্দনিক অত্যাধুনিক সব সুবিধা।’
২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ।
শিফটে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে জানতে চাইলে পলক বলেন, ‘এখানে যে বিষয়গুলো থাকবে, তার মধ্যে বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, নিউরোটেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অফ রোবোটিক্স থিংস, ব্লক চেইন, ডেটা সায়েন্স, হাইপার অটোমেশন, টেকনোলজিক্যাল এথিক্স, বিহেভিয়ার এন্ড এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনোভেশন ও অন্ট্রাপ্রেনরশিপ অন্যতম।’
শিফটে ছয় তলা গবেষণা ভবন, চার তলা অ্যাকাডেমিক ভবন, তিন তলা প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ডরমিটরি, ছয়টি বিশেষায়িত ল্যাব শিফটের আওতায় থাকবে নির্মাণাধীন প্রধান অবকাঠামো।
শিফটের পরিকল্পনা করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিভিত্তিক বিশ্বের অ্যাকাডেমিক রোল মডেল হিসেবে।