শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের বিবৃতি সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের (ডিএজি) যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া নিয়ে নিন্দার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শনিবার দুপুরে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
ডিএজি পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবারই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আশ্রয় নিতে যান ডিএজি এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় রাজনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে।
সরকারবিরোধীদের অনেকে এমরানের এ পদক্ষেপকে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে দেখলেও সরকারপন্থিদের কেউ কেউ ডিএজির সমালোচনা করেছেন।
এমন বাস্তবতায় বিএনপির বর্ষীয়ান রাজনীতিক গয়েশ্বর বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের নতুন রোগ নয়, এটা তাদের জন্মগত রোগ। জন্মগতভাবে তারা এ রোগে আক্রান্ত।’
তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, অন্যের সমালোচনা সহ্য করে না, যারা অন্যের অস্তিত্ব বিশ্বাস করে না, তাদের আচরণ এর চেয়ে বেশি ভালো আশা করা যায় না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আজ তো অ্যাটর্নি জেনারেল আশ্রয় চেয়েছেন। অনেকে তো দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সুতরাং এ নিয়ে নিন্দা করেও লাভ নেই। তাদের (এ সরকারের) পতন ঘটাতে হবে, দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেই লড়াইটাই এখন আমরা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পাশাপাশি মহিলা মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন, যাতে নারীরা সমঅধিকার ভোগ করতে পারেন।
‘নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে তোলেন। আজ দেখবেন বিভিন্ন সেক্টরে নারীরা কাজ করছেন। জিয়াউর রহমানের আমলেই দেশে প্রথম নারী পাইলট নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।’