বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মজুরি চাওয়ার ‘অপরাধে’ মারধরের শিকার শ্রমিক

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:০৪

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সাজু তার চালকলে টর্চার সেল পরিচালনা করছে। বিভিন্ন সময় সেখানে শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

৫২ বছর বয়সী দিনমজুর ব্রোজেন্দ্রনাথ প্রামাণিক। বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার মদনচক গ্রামে। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। জীবিকা নির্বাহের জন্য মহাদেবপুর উপজেলা সদরে ট্রাকলোড ও আনলোডের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। শ্রমের মজুরি চাইতে গিয়ে মারপিটের শিকার হয়েছেন এ প্রৌঢ় ও তার ছেলে টগর প্রামাণিক।

শুত্রবার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় তিনি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে উপজেলা সদরের খাদ্যগুদাম এলাকার মৃত মোদাচ্ছের আলীর ছেলে সাজেদুর রহমার সাজুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা এসআই আশিস সরকার।

শ্রমিক নির্যাতন নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয়রা জানান, সাজুর ট্রাক লোড-আনলোডের কাজ করেন শ্রমিকরা। গত ৬ সেপ্টেম্বর তীব্র তাবদাহে শ্রমিকরা কিছু কাজ বাকি রাখেন এবং তা পরবর্তীতে শেষ করার কথা জানান। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর ইউনিয়নের মহাদেবপুর-মাতাজিহাট সড়কের হায়দ্রাবাদ এলাকার আবেজান অটোমেটিক রাইস মিলে মজুরির টাকা চাইতে গেলে সাজু তার ব্যক্তিগত অফিসে ব্রোজেন্দ্রনাথ ও তার ছেলে টগরকে ডেকে নেন। এরপর তাদের লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন সাজু ও তার ৩-৪ জন সহযোগী। একপর্যায়ে অভিযুক্ত সাজুর হতে থাকা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ব্রোজেন্দ্রনাথ তার বাম হাত দ্বারা প্রতিহত করেন। এতে তিনি হাতে গুরুতর আঘাত পান। তাদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে কয়েকজন উপস্থিত হলে ব্রোজেন্দ্রনাথ ও তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই অফিস থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেন সাজু।

স্থানীয়রা তাদের উপেজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টগরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র প্রদান করেন। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন ব্রোজেন্দ্রনাথ।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় সাজু তার চালকলে টর্চার সেল পরিচালনা করছে। বিভিন্ন সময় সেখানে শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এছাড়াও আইনের তোয়াক্কা না করেই শিশুদের শ্রমিক হিসেবে কমমূল্যে কাজ করানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাজেদুর রহমান সাজুর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী দুই শ্রমিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর