স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আশ্রয় নিতে গেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসার পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের (ডিএজি) পদ থেকে চাকরি হারানো এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
শুক্রবার তাকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর এদিন বিকেলেই তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে গুলশানে ওই দূতাবাসে হাজির হন। সেখান থেকে গণমাধ্যমকে ফোনে মেসেজও পাঠান এমরান আহম্মদ। তবে সন্ধ্যার দিতে তিনি বাসায় ফিরে গেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সন্ধ্যার দিকে তিনি বলেন, ‘বরখাস্ত ডিএজি এমরান পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়েছিলেন। একটু আগে তিনি বাসায় চলে গিয়েছেন বলে জেনেছি।’
গণমাধ্যমকে বিকেলে এমরান বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। তিনটা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার তিনি মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিশ্বনেতাদের চিঠির পাল্টা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়েছিলেন এমরান আহম্মদ। তিনি বলেছিলেন, ড. ইউনূস বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ইউনূসকে হয়রানি বন্ধে বিশ্বনেতারা যে বিবৃতি দিয়েছেন, তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন এমরান। ওই বক্তব্যের এক দিন পর আইনমন্ত্রী জাতীয় প্রেস ক্লাবে বলেছিলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি ইস্যুতে বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
এরই মধ্যে এমরান আহম্মদকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।