কুমিল্লার বরুড়ায় নিখোঁজের দুদিন পর এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের এগারো গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বুধবার তার মরদেহ করা হয়।
নিহত ৭ বছর বয়সী ইব্রাহিম খলিল কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভার পাঠানপাড়া এলাকার মাসুদ রানার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২৫ বছর বয়সী আল আমিনকে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার বাশতলা এলাকা থেকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়। আল আমিন সম্পর্কে ইব্রাহিমের চাচাতো ভাই।
বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘চাচার সঙ্গে প্রবাসে ঝগড়া হওয়ায় দেশে ফিরে চাচাতো ভাইকে খুন করেন আমিন।’
আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইব্রাহিম খলিলের বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মাসুদ রানা ভাতিজা আল আমিনকে সেদেশে নিয়ে চাকরি দেন। কিন্তু ওখানকার কাজ আল আমিনের পছন্দ না হওয়ায় কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি। এ নিয়ে চাচা মাসুদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় আল আমিনের। এক পর্যায়ে তিনি দেশে চলে আসেন। দেশে ফিরে মাসুদ রানার ছোট ছেলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ইব্রাহিমকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় নিহতের মা আল আমিনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার বরুড়া থানা পুলিশ।
ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, ‘আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।