ভারতের নয়াদিল্লিতে শুক্রবার বিকেলে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুতে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে।
সফরের আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘দুই পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবে, তবে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বৃহত্তর সম্পর্কের পুরো ধারাটি আলোচনায় নাও আসতে পারে।
‘বৈঠকে কানেকটিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনায় অগ্রাধিকার বিষয় হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘দুই দেশ একসঙ্গে অনেক প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এবং সেগুলো বাস্তবায়নের সমস্যা আসতে পারে। বাংলাদেশ নির্ধারিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য ইস্যুসহ তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করবে।’
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হবে উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যু আছে যা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী উত্থাপন করবেন। আমাদের অন্যান্য সমস্যা আছে। আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে।’
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত সবসময়ই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। আমরা এটাকে সবসময় আলোচনার সূচিতে রাখতাম। এবারও আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলবেন।
“বাংলাদেশ মনে করে দুই দেশের পানি বণ্টন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। কারণ দুই দেশ পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করতে ‘মানসিকভাবে একমত’। পূর্ববর্তী আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যার খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।”
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় উভয় নেতা নদী দূষণের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা এবং অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ ও নাব্যতা উন্নত করার জন্য কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়ে’ আরও একটি মাত্রা যুক্ত করবে।”