ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং পুলিশের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য ও ৮ ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছেন।
হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে চিকিৎসকের সঙ্গে এক পুলিশ সদস্যের বাজে আচরণকে কেন্দ্র করে কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আটজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ডা. শামীম রেজা ও ডা. সাদিক গুরুতর আহত হওয়ায় আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
উপপরিচালক বলেন, ‘হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করায় রোগীদের চিকিৎসায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে হাসপাতালের পোস্টেড চিকিৎসক দিয়ে তা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে কর্মরত এএসআই মাহমুদুল হাসান তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনকে হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মাহমুদুল হাসান কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকেন। তখন ওই চিকিৎসক অন্য রোগী দেখছিলেন, ফলে একটু পরে আসবেন বলে জানান। কিন্তু এতে এএসআই মাহমুদুল হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। এসময় দুইপক্ষের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে তিনি এএসআই মাহমুদুলকে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক পুলিশ ক্যাম্পে যান। পুলিশ ক্যাম্পে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা ঘটনার সঙ্গে জড়িত হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়ে বলা হয়েছে।’