পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশে টাকা পাচার করার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের নিচতলায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রশাসনের ২৭২ কর্মকর্তা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। সেখানে তাদের স্ত্রী-সন্তানদেরও রেখেছেন। পুলিশের ৩০ জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যুক্তরাষ্ট্রে টাকা পাচার করেছেন। এগুলো কি শেখ হাসিনা জানেন না? আসলে তিনি এসব কর্মকর্তাকে টাকা পাচারের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তাদের বলেছেন, তোমরা বিদেশে টাকা পাঠাও স্ত্রী-সন্তান সুখে থাকুক আর আমাকে সহায়তা করো। আমি যেভাবে বলব, সেভাবে কাজ করো।
‘বিচারকদের বলেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের এখন সাজা দেয়ার জন্য। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছেন- বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দাও; আটক করে জেলে পাঠাও।’
রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য, তাকে মুক্ত করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে। কারণ, শেখ হাসিনা মনুষ্যত্বহীন অমানবিক নেত্রী। সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ বিক্রির পাঁয়তারা করছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া থাকলে তা পারবেন না। তাই খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার নির্যাতন করছেন এবং চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ সরকার সব কিছুর দাম বাড়িয়েছে। সারের দাম বাড়িয়েছে; এর মধ্যে তিনটি সার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক, এতে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তার পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিদেশে টাকা পাচার করুক, তাদের স্ত্রী সন্তানরা ভালো থাকুক- এটাই চায়। তিনি কৃষকদের ভালো চান না, দেশের জনগণেরও ভালো চান না।’
পুলিশের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার টিয়ার গ্যাস আমদানি করেছে কীসের জন্য প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘এ দেশের জনগণের মুক্তির সংগ্রামে বাধা দেয়ার জন্য, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করার জন্য। দেশের জনগণের টাকা দিয়ে গুলি কিনছে টিয়ার গ্যাস কিনছে। আর এগুলো ব্যবহার করবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর।’