জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন রুবায়েত হাসান নোমান। তবে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে তার জাবিতে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেহল। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া সিড গোডাউনের সামনে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুবায়েত সহ আরও একজন।
এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুদ্দীন জাহাঙ্গীর।
২২ বছর বয়সী নিহত রুবায়েত পাবনার চাটমোহরের পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের মহেলা গ্রামের মজনুর রহমানের ছেলে।
নিহতের মধ্যে অন্যজন সুজানগরের রামচন্দ্রপুর এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে ২১ বছর বয়সী রিফাত আল সিফাত।
নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস দেরিতে শুরু হওয়ায় ঈশ্বরদীর রূপপুর ও পাকশীতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন রুবায়েত এবং রিফাত। যাওয়ার পথেই এ ঘটনা ঘটে।
রুবায়েতের মামা একরামুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেটা অনেক মেধাবী ছিল। সে এবার বেশ কয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিল। রুবায়েত আমাদের বংশের একটা আশা ভরসার জায়গা ছিল। সে মারা যাওয়ার পর আমাদের আর কিছু থাকলো না।’পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নাটোর থেকে 'রাব্বি পরিবহনের' একটি যাত্রীবাহী বাস পাবনার দিকে যাচ্ছিল। পথে ঈশ্বরদীর দিকে যাওয়া একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। ঘটনাস্থলে সিএনজির দুই যাত্রী নিহত হন এবং আরও তিনজন আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের উদ্ধার করে পাবনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আহত তিনজনকে পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নুরুদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের টিম নিহতদের উদ্ধার করেছে। নিহতের একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ইতোমধ্যে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। দূর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছি। এরপরে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’