লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে জুয়াড়ি ধরতে নৌকায় করে ধাওয়া করলে হামীম নামের এক জুয়াড়ি পুলিশের ভয়ে তিস্তায় ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হন। একদিন পর ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বুধবার দুপুরে হামিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২০ বছর বয়সী হামীম গোকুন্ডা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার নবিজ কাসাইয়ের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তিস্তা নদীর রেল ব্রিজের পশ্চিম পাশে একটি নৌকায় দশ থেকে বারো জনের একটি দল জুয়া খেলছিল। এসময় লালমনিরহাট সদর থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম তার সঙ্গে থাকা ফোর্স নিয়ে ধাওয়া দিয়ে দুজন জুয়াড়িকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও হামীম কোনো উপায় না পেয়ে তিস্তায় ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। হামীমের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে হামিমের অভিভাবকেরা থানায় জিডি করেন।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় তাকে খোঁজার অভিযান। পরে দুপুরে হামিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হামীম নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় মোস্তফি বাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাতেই বিক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
হামীমের বড় ভাই শামীম জানান, গতকাল রাত দশটার দিকে জুয়াড়ি মোজাদ ও জাকির আমার ছোট ভাই হামীমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পড়ে শুনতে পাই, তারা তিস্তা নদীতে জুয়া খেলা অবস্থায় পুলিশের এসআই আশরাফুল ধাওয়া করে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সেসময় আমার ভাইকে ধাওয়া করলে সে ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। আজকে তো হামিমের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।’
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত জুয়াড়ি মোজাদ ও জাকির আজ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি উমর ফারুক পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিস্তা নদীতে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি যে, পুলিশের তাড়া খেয়ে হামীম নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। এটি মিথ্যা।’