মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী ও তার বড় বোন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও তার মেয়ে রানু বেগম।
দুর্বৃত্তরা আলমগীর হোসেনকে মাথায় আঘাত করে। রানু বেগমের হাতের রগ কেটে ফেলে তারা।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার একটি বাল্কহেড আছে। আমি বালু বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ট্রলারে করে এসে আট থেকে ১০ সদস্যের একটি ডাকাতদল আমার বসতঘর ঘিরে ফেলে।
‘ডাকাত দলের সবাই মুখোশ পরিহিত ছিল ও তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন রকমের অস্ত্র। তারা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে আমাদের সবাইকে জিম্মি করে ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, টিভিসহ ঘরের জিনিসপত্র লুট করতে থাকে। আমি তাদের বাধা দিলে আমাকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। আমার বড় বোন রানু বেগম আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে তারা।
‘আমার মাথায় অস্ত্রের আঘাত লাগে ও আমার বোনের হাতের রগ কেটে গেছে। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, তিনটি মোবাইল ফোন, টিভিসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে। ডাকাতি শেষে তারা চলে গেলে স্থানীয়রা আমাদের হাসপাতালে পাঠায়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমার বাড়ির পাশের। ঘটনার পরে আমি তাদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি।
‘আহতদের মধ্যে বর্তমানে আলমগীর হোসেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর রানু বেগমকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাদিয়া আফরোজ বলেন, ‘বুধবার ভোরে আমাদের হাসপাতালে দুইজন রোগী নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেনের মাথায় ও রানু বেগমের হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। খবর নিয়ে দেখছি।’