মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বাণিজ্যে দুদকের করা মামলায় চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমাইল হোসেন আদালতে শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- মাদারীপুরের টিএসআই গোলাম রহমান, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিক্যাল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের হায়দার ফরাজি।
এছাড়া এই মামলায় অপর দুই আসামি মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন আদালতে হাজির হননি।
মাদারীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়াটার্স। বিজ্ঞপ্তির পর অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হয়।’
পরে ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের একটি বিশেষ দল। এ ঘটনার অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে, উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।
মামলায় জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান, পিয়াস বালা ও হায়দার ফরাজী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হলে মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে উভয়পক্ষের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আসামি ৪ জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে দুদকের কাজ শেষে অভিযোগপত্র পেলে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।