এক দফা আন্দোলনে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ‘রাজপথে নেমে আসার’ ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই ডাক দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বড় দল, ছোট দল বা মাঝারি দল বলে কোনো কথা নয়। বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, নাকি গণতন্ত্র মঞ্চ- এটাও বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, দেশের মানুষ আজ বিপদগ্রস্থ, বিপন্ন। এদের অস্তিত্ব রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
“আসুন, গণতান্ত্রিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে আমরা রাজপথে নেমে পড়ি, যেখান থেকে উচ্চকণ্ঠে আমরা উচ্চারণ করব- ‘আর নয় এক দফা দাবি, হাসিনা তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করার ব্যবস্থা করে দাও। অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবে না।’ এটা আমি বারবার বলেছি। আসলে পায় না কিন্তু। অতীতেও খবেন ডিক্টেটররা পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে তরুণ-যুবকেরা আছেন এই সাকি (জোনায়েদ সাকি) দলে। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে চাই যে, তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক, তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক। মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করুন- এটা আমি আন্তরিকভাবে চাই।
‘আমি বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার সময় আমাদের এখনই। আর একমূহুর্ত দেরি নয়, আজকে সেই সময় এসেছে। আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত যে প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যারা আছি, এর বাইরেও যারা আছেন, আমরা সবাই এক হয়েছি একটি দাবি নিয়ে- সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে; সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেখানে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’