বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম নিরাপত্তা সংলাপ হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার।
এদিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সংলাপে নেতৃত্ব দিতে এরই মধ্যে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক সামরিকবিষয়ক আঞ্চলিক নিরাপত্তার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা কে রেসনিক।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগ) খন্দকার মাসুদুল আলম।
জানা গেছে, নিরাপত্তা সংলাপে অংশ নেয়া ছাড়াও রেসনিক সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করবেন। সফরের প্রথম দিন সোমবার তিনি সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ নিজেদের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রকাশের পর এটিই প্রথম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশ সদ্য প্রকাশিত এই আউটলুককে অগ্রাধিকার দেবে। যাতে ইন্দো-প্যাসিফিককে অন্তর্ভুক্তিমূলক দেখতে চায় ঢাকা। এদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুস্পষ্ট অবস্থান রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হবে।
গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, নিরাপত্তা সংলাপ দুই দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা সম্পর্কেরই অংশ। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের নিরাপত্তাবিষয়ক অংশীদারত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুটি দেশের স্বার্থ অভিন্ন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ, অবারিত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে দেশ দুটির দৃষ্টিভঙ্গি একই ধরনের। এই পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সংলাপের আয়োজন করা হয়।
চলতি বছর দুই দেশের নিরাপত্তা সংলাপের ঠিক আগের মাসে ঢাকায় প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকায় গত ২৩ ও ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সংলাপে সামরিক সম্পর্কের জন্য সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা এবং আগামী বছরের দুর্যোগে সাড়া প্রদানবিষয়ক অনুশীলনসহ আসন্ন সামরিক মহড়া নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের হুমকি হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও আলোচনায় আসতে পারে।