মাদারীপুরে শহরের শকুনী লেকে ঘুরতে গিয়ে ইভটিজিং ও মারধরে শিকার হয়েছেন এক নারী দর্শনার্থী।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তিনজনের নামে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। আদালতের বিচারক জাকির হোসেন শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামীরা হলেন- মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকার লিটন বেপারীর ছেলে ৩০ বছর বয়সী সাগর বেপারী ও ২৫ বছর বয়সী শুভ বেপারী এবং ডাসার উপজেলার আলমগীর মাতুব্বরের ছেলে ৩৫ বছর বয়সী মান্নান মাতুব্বর। মামলায় অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় কালকিনি থেকে স্বামী ও সন্তান নিয়ে শহরের শকুনী লেকে ঘুরতে আসেন ওই নারী। পরে তার ছেলে আইসক্রিম খেতে চাইলে সন্তানকে নিয়ে দোকানে যান স্বামী। এ সময় একা দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই নারী। এই সুযোগে সাগর নামে এক বখাটে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। তিনি বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাগর। পরে স্বামীকে ফোন করার পর তিনি এসে প্রতিবাদ করলে সাগর তার লোকজন নিয়ে নারী ও তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করেন। আহত অবস্থায় তারা দুজনে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানে গিয়েও ভয়ভীতি দেখান সাগর ও তার সহযোগীরা। পরে বাধ্য হয়ে একটি ইজিবাইকে দুজনে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন আহত ওই নারী ও তার স্বামী । এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত তিনজনসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে শুনানি শেষে বিচারক থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মাদারীপুর আদালতের জিপি ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার বলেন, ‘নারী দর্শনার্থীকে উত্যক্ত ও মারধরের ঘটনায় আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। আদালত থানার ওসিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। এছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনকে তৎপর থাকতে বলেছেন আদালত।’