সরকার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান অনুযায়ী পাঁচটি মৌলিক বিষয় নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। কিন্তু এই সরকার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারেনি।’
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কীটতত্ত্ববিদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
মঈন খান বলেন, ‘দেশের দরিদ্র মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ট্যাক্স দিয়ে সরকারকে জীবিত রেখেছে। অথচ করোনার সময়ে মানুষ তার ট্যাক্সের টাকায় কেনা টিকা পায়নি।
‘এই সরকার মানুষের সেবা না করলেও আজকে এই কঠিন অবস্থার মধ্যে বিরোধী দলে থেকে আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। কারণ সমাজ ও মানুষের জন্য কিছু করার মূলমন্ত্র দিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি এসব করতেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বগ্রাসী সরকার। কারণ এখানে এনজিও, ফাউন্ডেশন, সমাজসেবা বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করতে যাবেন এই সরকার সেটা টেনে ধরবে। কেননা এখানে সরকার একটা কোটারি ব্যবস্থা চালু করেছে। সরকার এবং সরকারের আশীর্বাদপুষ্টরা ছাড়া দেশে আর কারও কোনো অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘আজকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও বর্তমান সরকার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো তাদের যে কাজ তা নিরীহ নাগরিকদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এটা নৈতিকতাবিরোধী। এর পেছনে রয়েছে সরকারের দুর্নীতি।’
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। তারা নির্বাচনে নকল করে দায়িত্বে আছে। তাদের কর্মকাণ্ড হচ্ছে দুর্নীতি, লুটপাট, মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলা। দুর্নীতির মাধ্যমে তারা লাখো কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছে।’