বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসেম ফুডে ৫৪ মৃত্যুর মামলার অভিযোগপত্রে নেই মালিক ও ৪ ছেলের নাম

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ   
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:০৪

মামলার বাদী তৎকালীন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন আহমেদ এখন চট্টগ্রামে এসবিতে কর্মরত। তিনি বলেন, মামলার ফলাফলের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে কিছু জানাননি।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডে আগুনে ৫৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চার কর্মকর্তা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের শ্রম পরিদর্শকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জমা দেয়া এ অভিযোগপত্রে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে কারখানার মালিক এজাহারভুক্ত আসামি আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে৷

ঘটনার দুই বছর পর রোববার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির নারায়ণগঞ্জ অফিসের পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান ১৩ পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্র জমা দেন। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়ারির ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে শুনানি হয়। আগামী ৯ সেপেম্বর অভিযোগপত্রের বিষয়ে সিদান্ত দেবে আদালত।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হাসেম ফুডে আগুনে পুড়ে ৫৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি। আসামিদের বিরুদ্ধে অবেহলার দ্বারা মৃত্যু সংঘটের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারায় একজন আসামির সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।’

২০২১ সালের ৮ জুলাই সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে ওই কারখানার কর্মকর্তা-শ্রমিকসহ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেসহ ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আবুল হাসেমসহ ছয় আসামি জামিনে আছেন। পরবর্তীতে এ মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে কারখানা অব্যবস্থানাকে দায়ী করা হয়।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনে শাহ আজাদ, উপ-মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কাম প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন ও প্রধান প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল ও ইলেট্রিক) ওমর ফারুক, কল কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ অফিসের পরিদর্শক নেছার উদ্দিন ও সৈকত মাহমুদ।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে কারখানার মালিক এজাহারভুক্ত আসামী আবুল হাসেম ও তার চার ছেলে হাসিব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহিম, তাওশীফ ইব্রাহিম ও তানজীম ইব্রাহিমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির নারায়ণগঞ্জ অফিসের পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান জানান, তার আগে আরও চার কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেছেন। তদন্তে তাদের পাওয়া ফলাফল তিনি নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সাক্ষ্য স্মারকলিপি দাখিল করে কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কারখানার মালিকসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলার ফলাফল বাদীকে জানানো হয়েছে। মামলায় বাদীসহ ৯১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার বাদী তৎকালীন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন আহমেদ এখন চট্টগ্রামে এসবিতে কর্মরত। তিনি বলেন, মামলার ফলাফলের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে কিছু জানাননি।

নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় কারখানার মালিক দায় এড়াতে পারেন না। এ কারণে হত্যা মামলা করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে কী আছে তা দেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর