ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশের শ্রম আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে তার নোবেল পুরস্কার স্থগিত রাখার জন্য নোবেল কমিটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে এ অনুরোধ জানান তিনি।
ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে ১৬০ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন দাবি করে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজস্ব মামলায় অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রথমে তিনি এই রাজস্ব দেননি। পরবর্তীতে তিনি এই রাজস্ব দিতে বাধ্য হয়েছেন। যেহেতু আমাদের রাষ্ট্রিয় আইনে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং শ্রম আইনে যেহেতু তার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে তাই নোবেল কমিটির কাছে আমাদের অনুরোধ, এই বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে নোবেল পুরস্কারের সম্মানার্থে ড. ইউনূসের এই পুরস্কার যেন স্থগিত করা হয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমাদের বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য ড. ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কি না একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে।’
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হলো, শিক্ষার জন্য তিনি কোন জায়গায় ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য এই টাকা দিয়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন এমন নজির আমার জানা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থই হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আনা। আপনি কেন শহীদ মিনারে যান না, কেন স্মৃতিসৌধে যান না, কেন আপনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান না। এগুলো কি দেশ প্রেমের অংশ নয়? আপনার কি দেশপ্রেম আছে! যদি আপনার দেশ প্রেম থাকতো তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতগুলো মানুষকে দিয়ে আপনি বিজ্ঞাপন দিতেন না।’
এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়া রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।