রাজধানীর মধ্য বাড্ডা লিংক রোডের হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা এক ছাত্রকে মৃত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক।
১৭ বছর বয়সী মো. রিফাতকে অচেতন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে আসে জামিয়াতুল বালাগ মাদ্রাসার ছাত্র শাকিল আহমেদ। সে জানায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখে, রিফাত ছটফট করতে করতে বলছিল, ‘আমার বুক জ্বালাপোড়া করছে।’ তখন শাকিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের জানালে তারা রিফাতের স্বজনদের খবর দেন। পরে স্বজনদের সহযোগিতায় রিফাতকে স্থানীয় আল সামি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাকিল আরও জানায়, রিফাত কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে।
রিফাতের মা মাহমুদা রহমান বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায়। দুই ভাই-বোনের মধ্যে রিফাত বড়। আমারা মধ্য বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকি।’
তিনি জানান, গত সপ্তাহে তাদের বাসা থেকে ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়। পরবর্তী সময়ে ২৬ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এরপর আবার সেই ২৬ হাজার টাকা চুরি হয়। তখন রিফাতকে সন্দেহ করে তার বাবা।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় রিফাতকে মারধর করলে রিফাত জানায়, তার সঙ্গে থাকা জিন তাকে দিয়ে টাকা চুরি করায়। এরপর সে ২৬ হাজার টাকা বাসা থেকেই বের করে দেয়। তখন তার বাবা তাকে আবার বকাঝকা করে। এরপর সে বাসা থেকে মাদ্রাসায় চলে যায়। সোমবার সকালে মাদ্রাসা থেকে তিনি খবর পান, তার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেখান থেকে তিনি ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বাড্ডা থানাকে অবগত করা হয়েছে।’