বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুয়াডাঙ্গায় স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে জখম, প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা   
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:১৪

মানববন্ধনে উপস্থিত এক বক্তা বলেন, ‘এলাকায় হঠাৎ কিশোর গ্যাং চাঙা হয়ে উঠেছে। একজন নিরীহ স্কুল শিক্ষকের উপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা যাকে ইচ্ছা তার উপর হামলা চালাচ্ছে। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গায় এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।

গত বুধবার সদরের নীলমনিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলামের ওপর এই হামলা হয়।

স্থানীয় কিশোর গ্যাং-এর কয়েকজন সদস্য এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও দায়ীদের বিচার চেয়ে রোববার বিকেল ৫টার দিকে নীলমনিগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে।

মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। এদিন সকালে নীলমনিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরেও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে উপস্থিত এক বক্তা বলেন, ‘এলাকায় হঠাৎ কিশোর গ্যাং চাঙা হয়ে উঠেছে। একজন নিরীহ স্কুল শিক্ষকের ওপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা যাকে ইচ্ছা তার উপর হামলা চালাচ্ছে। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

স্থানীয় আরেকজন বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম খুবই ভাল ও মেধাবী মানুষ এবং একজন দক্ষ শিক্ষক। তার ওপর এমন আঘাত আমরা মেনে নিতে পারছি না।’

জড়িতদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

স্থানীয়রা জানান, কিশোর গ্যাং-এর সদস্যদের অন্যায়ের প্রতিবাদ ও শিক্ষক হিসেবে তাদের ভালো হয়ে চলার নিয়মিত উপদেশ দিতেন শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। বুধবার বিকেলে তরিকুল ইসলাম স্কুল শেষে খেলার মাঠে বসে ছিলেন। এসব কারণে, হঠাৎ ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলসহ কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা স্কুল মাঠে প্রবেশ করে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে ২ থেকে ৩ জন করে সদস্য ছিল।

তাদের হাতে ছিল লাঠিসোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র। এসময় শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে জখম করে তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক।

ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বাবা রবিউল হক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের মোহাম্মদ প্রান্ত , একই গ্রামের রাখা আলী, চন্দন আলী, মোমিনপুর গ্রামের সেতু রহমান, একই গ্রামের রাশেদ আরেফিন রাতিন ও বোয়ালমারি গ্রামের সোয়েব রহমান। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তবে এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর