সংসদ সদস্যদের (এমপি) মানুষের সেবায় নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মানুষের সেবা করাই সব থেকে বড়, এর থেকে বড় কিছু নেই। রাজনীতিবিদদের এটা বেশি দরকার। সংসদ সদস্যদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে নিজের এলাকায় মানুষের সেবা করতে হবে।
রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস ও রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে আলোচনায় আরো অংশ নেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আশরাফ আলী খান খসরু, সাজ্জাদুল হাসান, জুনাইদ আহমেদ পলক, ওয়াসিকা আয়শা খান, শফিকুল ইসলাম শিমুল ও আব্দুল আজিজ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম একেবারে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে, সংসদ সদস্যরা অত্যান্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজকে বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। কিন্ত আমাদের বাংলাদেশকে উন্নত করতে হবে। সেখানে প্রত্যেকেই নিবেদিত প্রাণ হয়ে নিজের এলাকায় মানুষের সেবা করবেন, এটাই আমি চাই।
প্রয়াত সংসদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই সংসদে ২৮ জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬ জন এবং জাতীয় পার্টির ২ জন। ভেবেছিলাম সংসদের এই অধিবেশনে কোনো শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে না। কিন্ত তা হলো না। ছাত্র রাজনীতিতে থাকাকালে প্রয়াত রেবেকা মমিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। রেকেবা মমিন আমার পত্র বন্ধু ছিলেন। সে আমাকে চিঠি দিতো, আমিও দিতাম। সে তার চিঠিতে সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা লিখতো। তার সঙ্গে আমার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং অত্যন্ত সাহসী নেতা ছিলেন। আসলে এই সংসদে আমাদের বহ নেতাকে হারাতে হয়েছে। বন্ধুকে হত্যার পর আমাদের এই নেতাদের অনেকের উপরই অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। রেবেকা মমিন সে তার নিজের জমি গরিব মানুষের জন্য দান করে গেছেন। তিনি আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য জমি দান করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ময়মনসিংহের নেতা মতিউর রহমান সাহেব মারা গেলেন। আমরা যখন জোট করি, তখন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের জন্য তার আসনটি আমরা ছেড়ে দেন। আমি উনাকে বললাম, আপনার আসনটি আমাদের জোটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। তিনি এক কথায় মেনে নিলেন। তিনি এই রকম একজন নেতা ছিলেন। তা না হলে তিনি ওই আসনে সংসদ সংসদ সদস্য থাকতেন।