বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গেজেট পুনর্বিবেচনার দাবিতে চা শ্রমিকদের স্মারকলিপি

  • প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার   
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:৫৮

বাচাশ্রই সভাপতি বলেন, গেজেটে শ্রমিকদের বেতন ১৭০ টাকা, ১৬৯ টাকা ও ১৬৮ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তারপরও এমন সিদ্ধান্ত আমাদের বোধগম্য নয়।’

চা শিল্পের জন্য মজুরি বোর্ড প্রকাশিত গেজেট পুনর্বিবেচনা ও শ্রমিকবান্ধব গেজেটের দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-দলই ভ্যালি কার্যকরী পরিষদ (বাচাশ্রই) শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে।

বাচাশ্রই সভাপতি ধনা বাউরির নেতৃত্বে চা শ্রমিকরা রোববার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ইউএনও জয়নাল আবেদিনের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপির কপি হস্তান্তর করেন।

স্মারকলিপিতে চা শিল্পের রীতি অনুযায়ী টি গার্ডেন শিল্প সেক্টরের চা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ চা সংসদ প্রতি ২ বছর অন্তর মজুরি ছাড়াও উৎপাদনশীলতাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জা‌নানো হয়।

ধনা বাউরি বলেন, ‘১০ আগস্ট চা শিল্পের জন্য সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ড একটি গেজেট প্রকাশ করে। গেজেটে বছরে মাত্র ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথা বলা হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে বছরে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। সেখানে শ্রমিকরা কিভাবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবে? মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তিনটি শ্রেণিতে শ্রমিকদের জন্য ১৭০ টাকা, ১৬৯ টাকা, ১৬৮ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে ১৬৯ ও ১৬৮ টাকায় নামিয়ে আনার বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গেজেটে বলা হয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ও পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা চলমান থাকবে। বাস্তবে দেখা যায় ৭০০ শ্রমিকের জন্য একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও প্রায় চা বাগানে ডাক্তার নেই। ৫ থেকে ৭টি চা বাগান মিলিয়ে একজন ডাক্তার থাকেন। প্রদত্ত চিকিৎসা ও ওষুধ পর্যাপ্ত নয়।’

বাচাশ্রই-এর সহ-সভাপতি গায়েত্রি রাজভর, সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস পাইনকা, শ্রমিক নেতা বাবুল মাদ্রাজি, নূরজাহান চা বাগান সভাপতি বিকস কানু, ডেবল ছড়া চা-বাগান সভাপতি সঞ্জু তাঁতি, ফুলবাড়ি চা বাগান সভাপতি মনোরঞ্জন, মদন মহনপুর চা বাগান সভাপতি উমা সংকর গোয়ালী, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত কানু, মাঠ কর্মী চা নেতা সংকর তাঁতি, ভ্যালির অফিস সহকারী রাজীব কৈরীসহ উপজেলার ২৩টি চা বাগানের নেতৃবৃন্দ ও শতাধিক চা শ্রমিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর