জলাবদ্ধতা এই নগরীর বরাবরের সমস্যা। সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বন্দর নগরের বড় একটি অংশ। তার ওপর নগরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাল ও নালাগুলোর বেশিরভাগই উন্মুক্ত।
শহরের এসব উন্মুক্ত খাল ও নালা যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এসব খাল ও নালায় পড়ে একের পর এক ঘটছে প্রাণহানি।
এবার বন্দর নগরের হালিশহরে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ মিলেছে বাসার সামনের মহেশখালে।
ওই শিশুর স্বজন ও প্রতিবেশীরা ধারণা করছেন খালে পড়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
নগরীর ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খালে পড়ে মারা যাওয়া ৫ বছর বয়সী আব্দুল হালিশহর থানার ছোটপোল পাঁচতলা এলাকার মো. কামালের ছেলে। সে স্থানীয় নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মহেশখাল থেকে আব্দুলের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয় রোববার।
শিশুটি পরিবারের সঙ্গে হালিশহর এলাকায় বসবাস করলেও খালের স্রোতের কারণে বাসা থেকে কিছুটা দূরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রতিবেশী মো. তুহিন বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। তখন পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস কাউকে জানানো হয়নি। তবে এলাকায় মাইকিং করা হয়। তাদের বাসার সামনেই মহেশখাল। ওই খালেও খোঁজা হয়েছে। পরদিন বিকেলে খালের ভাটিতে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের জানায়। পরে আমরা এসে মরদেহ উদ্ধার করি।’
শিশুটির মায়ের বরাত দিয়ে ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বিকেলে শিশুটি খেলতে যায়। এর পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। হয়তো খাল থেকে কিছু তুলতে গিয়ে বা অসাবধানতাবশত খালে পড়ে যায় সে। শিশুটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’