পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ বৈধ বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে এ রায় দেয় আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় ঘোষণা করে।
রায়ে আদালত জানায়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছে। আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। ফলে সীমানা নির্ধারণ বৈধ।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কামাল খান দাউদ।
চলতি বছর ৩ জুন প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানী উপজেলাকে। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে বাদ দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। ফলে এখন পিরোজপুর-১ আসনের সীমানায় থাকছে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা। আর পিরোজপুর-২ আসনে থাকছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা।
ইন্দুরকানী উপজেলা বাদ দিয়ে এখানে নেছারাবাদকে যুক্ত করায় নাখোশ এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুলের শুনানি শেষে আদালত রুলটি খারিজ করে দেন।