বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহারাজার আমলের ঢোপকলে নবপ্রাণ

‘বিউটিফুল দিনাজপুর’ নামে ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘মহারাজার আমলে ২৫টির মতো ঢোপকল নির্মাণ করা হয়, কিন্তু এখন বর্তমানে হাতেগোনা চার থেকে পাঁচটি ঢোপকল আছে। সেগুলোও ব্যবহার উপযোগী নয়। বিষয়টি দেখার পর গ্রুপের সদস্যরা মিলে ঢোপকলগুলো ঘষামাজা করে নতুন করে রং করে দিয়েছি।’

জনগণের সুপেয় পানির সুব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৯৪০ সালে ঢোপকল নির্মাণকাজ শুরু করেন দিনাজপুরের তৎকালীন মহারাজা গিরিজানাথ রায় বাহাদুর। এর পর থেকে দিনাজপুর শহরে একে একে নির্মাণ করা হয় ২৫টি ঢোপকল। কালের বিবর্তনে সেই ঢোপকলগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।

একসময়ে সুপেয় পানির জোগান দেয়া ঢোপকলগুলো জরাজীর্ণ ও ময়লার ফেলার স্থানে পরিণত হয়েছে। এমন বাস্তবতায় এগুলোকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ‘বিউটিফুল দিনাজপুর’ নামের ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ।

সম্প্রতি দিনাজপুর শহরের বুটিবাবুর মোড়, ডাবগাছ মসজিদ মোড়, লালবাগ চৌরাস্তার মোড়, কালিতলা থানা মোড়ের ঢোপকলগুলো সাজায় গ্রুপটি।

দিনাজপুর শহরের ডাবগাছ মসজিদ এলাকার ৭০ বছর বয়সী আকরাম হোসেন বলেন, ‘রাজাদের আমলে আমাদের এলাকায় একটি পানি খাওয়ার ঢোপকল বানানো হয়। এরপর পৌরসভা কয়েকবার সংস্কার করে সেটি, কিন্তু দিন পাল্টানোর কারণে ওই ঢোপকল আর ব্যবহার করা হয় না। পাশাপাশি সেগুলো থেকে পানিও বের হয় না।

‘কয়েকজন ছেলে ঢোপকলগুলো নতুন করে রং করেছে। ঢোপকলটি চালু করেছে।’

৬১ বছর বয়সী ইজিবাইক চালক আকাশ হোসেন বলেন, ‘আমি এখন ইজিবাইক চালাই, কিন্তু ২০ বছর আগে আমি প্যাডেলের রিকশা চালাতাম। তখন রিকশা চালানোর সময় পানির তৃষ্ণা পেলে ঢোপকল থেকে পানি পান করতাম। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ঢোপকল ছিল ওই সময়।

‘এখন হাতেগোনা কয়েকটি ঢোপকল আছে শহরে, কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করা যায় না। কয়েক দিন আগে ঢোপকলগুলো জরাজীর্ণ দেখেছি, কিন্তু এখন ঢোপকলগুলো দেখছি নতুন রূপে ফিরেছে। ধন্যবাদ জানাই যারা ঢোপকলগুলো নতুন রূপে ফিরিয়ে দিয়েছে।’

বিউটিফুল দিনাজপুর গ্রুপের সদস্য ফিরোজ মাহফুজ বলেন, ‘মহারাজার আমলে নির্মিত ঢোপকলগুলো দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে ছিল। দেখতে খুব খারাপ লাগছিল। তাই আমরা গ্রুপের সদস্যরা মিলে ঢোপকলগুলো পরিষ্কার করে রং করে দিয়েছি।’

গ্রুপের অ্যাডমিন মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘মহারাজার আমলে ২৫টির মতো ঢোপকল নির্মাণ করা হয়, কিন্তু এখন বর্তমানে হাতেগোনা চার থেকে পাঁচটি ঢোপকল আছে। সেগুলোও ব্যবহার উপযোগী নয়। বিষয়টি দেখার পর গ্রুপের সদস্যরা মিলে ঢোপকলগুলো ঘষামাজা করে নতুন করে রং করে দিয়েছি।

‘আগে ঢোপকলগুলোর কাছে কেউ যেত না, তবে এখন সাধারণ মানুষ সেই ঢোপকলগুলো থেকে পানি খাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর