সিঙ্গাপুরে ৯ দিন চিকিৎসা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ঢাকার কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বের হয় যে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে গোপন বৈঠক হয়েছে। বিমানবন্দরে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এগুলো সম্পর্কে আমি কথা বলতে চাই না। আমার রুচির বাইরে এগুলো।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সরকার এখানে এমন সমাজ তৈরি করে ফেলেছে, এমন একটা জগৎ তৈরি করেছে, যে জগতে নোংরামি ছাড়া কিছু নেই।
‘আমাদের মতো রাজনীতিবিদ যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ছিলাম, এখন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে যুক্ত আছি, আমাদের জড়িয়েও এসব নোংরা কথাবার্তা ছড়ায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণমাধ্যমে ছড়ায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ায়। আমি মনে করি, এর উত্তর দেয়াটাও লজ্জাকর।’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘সরকারের হয়রানি করার যতরকম কৌশল আছে, বিমানবন্দরে তা ফেইস করতে হয়েছে। যারা বিরোধী দল করি সবাইকেই করতে হয়। যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে হয়রানি করে। ফেরার সময় হয়রানি করে। এটা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছি। তারপরও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।’
গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। দুজনই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ফলোআপ চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর যান তারা।
কয়েক বছর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। এছাড়া তার গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়। চিকিৎসার ফলোআপের জন্য প্রতিবছর তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়। আর তার স্ত্রীর দেহে সম্প্রতি একটি অস্ত্রোপচার হয়। তিনিও সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হসপিটালে চিকিৎসা নেন।