ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ১৭৫ একরের এ ক্যাম্পাস।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পৃথক পৃথকভাবে ক্লাস শুরু হয়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-স্ব বিভাগের আয়োজনে ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শুরু হয়। বিভাগের উদ্যোগে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, প্রথমদিন প্রায় সবগুলো বিভাগ ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে। প্রথম দিন ক্লাসে ছিল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নানাবিধ দিকনির্দেশনা। এছাড়াও ক্লাস শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় ।
বায়োটেকনোলজি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নওশীন বলেন, ‘প্রথমদিন এসেই ক্লাস করেছি। শিক্ষকরা আমাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। প্রত্যাশা থাকবে সেশনজটে যেন না পড়তে হয়।’
চারুকলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। চারুকলা বিভাগে ভর্তি হয়েছি শুধু ক্যানভাসে চিত্রকর্মগুলো সীমাবদ্ধ রাখতে নয়, রঙ তুলিতে ফুটিয়ে তুলতে চাই বাস্তবতা।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘নবীনরা আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। তারাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, শুধু অ্যাকাডেমিকভাবে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তাদের অংশগ্রহণ থাকবে।’
এছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের দরজা তাদের জন্য সবসময় খোলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আমারা সর্বদা সচেতন। পরিচয় পর্বের নামে হল ও মেসে ডেকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিবো। এছাড়াও র্যাগিং প্রতিরোধে আমাদের অ্যান্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স টিম সারা দিনব্যাপী সচেতনতামূলক মাইকিং করেছে। এককথায় র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে নো টলারেন্স।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে আমি সবসময় চাই একজন শিক্ষার্থী মানুষের মতো মানুষ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করুক। নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের।’
কেন্দ্রীয় ওরিয়েন্টেশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের বরণ করে নেয়া হবে। খুব শিগগিরই আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।’