প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মাঝে মধ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে অনেকেই একটু ঘাবড়ে যান। তারপর স্যাংশন, ভিসা স্যাংশন ইত্যাদি। কিন্তু এই মাটি আমাদের; আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের জনগণ তার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে।’
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মেঘের ঘনঘটা আমরা দেখি। আবার তারপর তো সূর্য ওঠে। কাজেই ওই ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। নৌকা সারাজীবন উজান ঠেলেই এগিয়ে গেছে। ঝড়-ঝঞ্ঝা পাড়ি দিয়েই নৌকা আজ তীরে ঠেকে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
‘নৌকা মার্কা স্বাধীনতা দিয়েছে, নৌকা মার্কা অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছে, নৌকা মার্কা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকা মার্কাই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে।’
‘আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেন হয়েছে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটাই কারণ। ২০০৯ সাল থেকে গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে আমরা একটা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল পরিবেশ রাখতে পেরেছি। তার কারণেই আজকে বাংলাদেশের এই উন্নয়ন।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই নাকি গণতন্ত্র চোখে দেখেন না এবং তারা গণতন্ত্র উদ্ধার করবেন। যাদের জন্মই হয়েছে অগতান্ত্রিকভাবে সংবিধান লংঘন করে, উচ্চ আদালত যাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, তাদের হাতে গড়া দল কী গণতন্ত্র দেবে? তারা তো গণতন্ত্র দিতে জানে না। তারপরও তারা আন্দোলনের নামে অনেক সময় অনেক কথা বলে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। কখনও বর্ষা কখনও ঝড়; কখনও জলোচ্ছ্বাস, কখনও রৌদ্রোজ্জ্বল দেখে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আজ যারা আন্দোলনের নামে রোজই ক্ষমতা থেকে আমাদের ফেলে দিচ্ছে তাদের বলতে চাই, এখানে উপস্থিত সবাইকে বলব; সেটা কবির ভাষায় বলব- মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়/আড়ালে তার সূর্য হাসে/হারা শশীর হারা হাসি/অন্ধকারেই ফিরে আসে।’
প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট জনশক্তি তৈরির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের সরকার স্মার্ট সরকার হবে। আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট অর্থনীতি হবে। আমাদের সমাজ স্মার্ট সমাজ হবে।
‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’