ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেয়া হয়েছে। তবে সাধারণের গাড়ি চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত হচ্ছে রোববার ভোর ৬টায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর কাওলায় আনুষ্ঠানিভাবে এর উদ্বোধন করেন। এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা অংশে টোল দিয়ে সুধী সমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হন।
ঢাকায় প্রথম এই উড়াল সড়ক চালু হলেও এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। পথচারী, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ি এই সড়কে উঠতে পারবে না। শুধু চার চাকার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এজন্য ওইসব গাড়িকে নির্দিষ্ট হারে টোল গুনতে হবে।
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও হালকা ট্রাক ৮০, বাস-মিনিবাস ১৬০, মাঝারি পাল্লার ট্রাক ৩২০ এবং ভারী ট্রাক বা ট্রেইলার চলাচলে ৪০০ টাকা হারে টোল দিতে হবে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে টোলের টাকা থেকে নির্মাণ ব্যয় তোলা হবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যে অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে তার মূল অংশের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। তবে র্যাম্পসহ তা দাঁড়াবে ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এই অংশে মোট ১৫টি র্যাম্পের মধ্যে ১৩টি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট।
প্রকল্পের প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তবে র্যাম্পসহ দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।