ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর কাওলায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এক অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।
এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা অংশে টোল দিয়ে সুধী সমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী আগারগাঁওয়ের দিকে রওনা হন।
উদ্বোধনের পরের দিন রোববার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ।
প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আক্তার জানান, এ অংশের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এতে বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীর দুটি র্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে।
এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার হবে জানিয়ে পিডি বলেন, এতে চড়তে পারবে না থ্রি হুইলার, বাইসাইকেল ও পথচারীরা। আপাতত এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে না মোটরসাইকেলও।
এদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে জড়ো হন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি সেখানে আসেন বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ ও সুধীজন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান সমবেতরা।
সমাবেশে আসা আফজাল হোসেন বলেন, ‘নতুন উড়ালসড়কটির ফলে রাজধানীর যানজট কমে যাবে। এটি আমাদের গৌরব। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের ভাষণ শুনতে দূর থেকে এসেছি।’
চট্টগ্রাম থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন দেখতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এসেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সাবরিনা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক এ মহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে হতে দুই দিন আগে ঢাকা এসেছি।’
মিরপুরের একটি কলেজ থেকে আসা ছাত্রলীগ নেতা তালেব বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এসেছি। আসার পরই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
‘দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নাই। তাই ভিজতেই হয়েছে, কিন্তু তারপরও প্রথম দেখব বলে অপেক্ষা করছি।’