জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক ছাত্রীকে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ভাড়া বাসা থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় কাজী সামিতা আশকাকে উদ্ধার করেন সহপাঠীরা। সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
প্রাণ হারানো আশকা জাবির ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) ছাত্রী। তার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়।
আশকার সহপাঠীরা জানান, আমবাগান এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের ছাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন আশকা। খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার জামান তুর্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। তুর্য শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আশকার সহপাঠী সামিহাকে ফোন করে দ্রুত আশকার বাসায় যেতে বলেন। সামিহা ওই বাসায় গিয়ে লোকজনের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে আশকাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
সহপাঠীরা আরও জানান, তারা সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আশকাকে মৃত বলে জানান।
আশকার রুমমেট মাইশা নুসরাত বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা কেউ বাসায় ছিলাম না। আমি সন্ধ্যার আগে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আশকা আপুকে তুর্যের সঙ্গে ভিডিও কলে জোর গলায় কথা বলতে দেখি।’
আশকার সহপাঠী গিয়াস উদ্দিন মুন্না বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে আসি। পরে তারা সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।’
শাহরিয়ার জামান তুর্য বলেন, ‘আমি ও আশকা ভিডিও কলে কথা বলছিলাম। তেমন কোনো ঝামেলা না, তবে ছোট বিষয় নিয়ে আজকে কথাকাটাকাটি হয়। সেটা নিয়ে আশকা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তখন ফোন কেটে যায়। আমি বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাইনি। তখন তার রুমমেট ও বন্ধুদের জানাই।’
ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ফোন দিয়ে জানায় আশকা অসুস্থ। তাই আমি দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে দিতে বলি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রনি হোসাইন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে আশকা এমন স্টেপ নিয়েছে। আমরা তার রুম পরিদর্শনে যাব। সেখানে গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’