বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫৪

সম্প্রতি খালটির মাঝখান দিয়ে উত্তরে হারিয়াখালীর দিকে যে অংশটি প্রবাহিত হয়েছে, সে অংশে বাঁধ দিয়ে মাছের প্রজেক্ট করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এতে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে উপার্জন বন্ধের শঙ্কা জেগেছে খাল নির্ভর গরীব জেলেদের।

কক্সবাজারের টেকনাফে সরকারি খাল দখল করে মাছের প্রজেক্ট তৈরির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ও হারিয়াখালীর মধ্যবর্তী বড়খালের একটি অংশে বাঁধ দিয়ে দখলে নেয় একটি প্রভাবশালী মহল। এর ফলে খাল নির্ভর উপার্জনে যাদের সংসার চলে, তাদের চরম কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নাফ নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের বেড়িবাঁধ এবং মাঝখান দিয়ে উত্তরে হারিয়াখালীর কাছাকাছি বিস্তৃত খালটিই উপজেলার সবচেয়ে বড় খাল। স্থানীয়দের কাছে এটি বড়খাল নামে পরিচিত। এই খালে হারিয়াখালী ও শাহপরীর দ্বীপের গরীব-অসহায় লোকজন মাছ শিকার করে পরিবারের মাছের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সম্প্রতি খালটির মাঝখান দিয়ে উত্তরে হারিয়াখালীর দিকে যে অংশটি প্রবাহিত হয়েছে, সে অংশে বাঁধ দিয়ে মাছের প্রজেক্ট করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এতে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে উপার্জন বন্ধের শঙ্কা জেগেছে খাল নির্ভর গরীব জেলেদের।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা বলে জানা গেছে, তারাও জানেন না এ খালটি কারা দখল করেছে।

শাহপরীর দ্বীপ উত্তর পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘একসময় এই খালটি অনেক বড় ছিল। আমরা ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। পরিবারের মাছের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করতে পারতাম। এভাবে শতাধিক গরীব মানুষ এ খাল থেকে রোজগার করতেন। এখন দেখি একটি মহল খালের বড় একটি অংশ বাঁধ দিয়ে প্রজেক্ট তৈরি করেছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ সেখানে মাছ ধরতে পারছে না।’

সাবরাং হারিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমাদের বাবা-চাচারা এই খালে জাল ফেলে মাছ ধরতেন। এটি আমরা সরকারি খাল বলে জানতাম। এখন দেখছি, খালে বাঁধ দিয়ে ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠীর মালিকানায় নেয়া হয়েছে খালটি।’

সাবরাং ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কবির আহমদ বলেন, ‘এলাকার কিছু ছেলে মিলে প্রজেক্টটি করেছে বলে শুনেছি। আগেও চেয়ারম্যানের সঙ্গে খাল দখলমুক্ত করতে কাজ করেছি। আমিও চাই খাল সবার জন্য উন্মুক্ত হোক।’

‘খাল সবার জন্য উন্মুক্ত’ উল্লেখ করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছের প্রজেক্ট করার তথ্য আমার জানা ছিল না। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর