বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিমে গোপনে ভিডিও ধারণ, প্রতিবাদ করায় মারধর

  • প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া   
  • ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:৩২

মিতু আক্তারের মোবাইলে জিম সেন্টারে ধারণ করা ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তবে সেটি আপত্তিকর ভিডিও নয় বলে জানান ওসি আসলাম হোসাইন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যায়ামাগারে (জিম) গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূসহ দুইজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাব নামে একটি জিমে এ ঘটনা ঘটে।

ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাসুর মাসুদুর রহমান (সোহাগ) বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ সেই জিম সেন্টারের পরিচালক। এছাড়া জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার ও আহতদের পারিবারের সদস্যরা জানান, ওই গৃহবধূ ও তার বোন জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় অবস্থিত বিএস ফিটনেস জিম সেন্টারে নিয়মিত শরীর চর্চা করেন। জিম সেন্টারটিতে মেয়েদের জন্য শরীর চর্চার বিশেষ ব্যবস্থা ও পুরুষের যাওয়ার অনুমতি না থাকায় ভর্তি হয়েছিলেন তারা। তাদের শরীর চর্চার ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন মিতু আক্তার। তবে জিমে ভর্তি হওয়ার পর থেকে গোপনে ভিডিও ধারণ করার বিষয়ে ট্রেইনার মিতু আক্তারের ওপর সন্দেহ হয়। কয়েকদিন আগে তারা নিশ্চিত হন ট্রেইনার মিতু গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করেছেন।

বুধবার বিকেলে মিতুকে ভিডিও করার কথা জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে ট্রেইনার মিতু বিষয়টি জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবকে জানান। খবর পেয়ে বিপ্লব মিতুকে নিয়ে তাদের দুই বোনের কাছে যান। সেখানে মিতু ওই গৃহবধূর চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে জিমে থাকায় শহরের উত্তর পৈরতলার সোহেল মিয়া নামে এক যুবক তাদের বাঁচাতে আসলে বিপ্লবসহ তার সহযোগীরা তাদের লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখেন। পরে মামলার বাদী মাসুদুর রহমান সোহাগ ৯৯৯-এ কল দিলে সদর মডেল থানা পুলিশ এসে তারা ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে।

সেসময় জিমের পরিচালক হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই গৃহবধূ ও সহায়তা করতে আসা সোহেলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেদিন রাতেই আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসাইন বলেন, ‘জিমে গোপন ভিডিও ধারণ করার সন্দেহে দুজন মহিলা গ্রাহকদের সঙ্গে পরিচালক, জিম ট্রেইনারদের বাগবিতণ্ডা ও মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক জিমের পরিচালক ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ, ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার এবং সাইমকে আটক করে পুলিশ। সেইসঙ্গে ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তারের মোবাইলটি পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।’

মিতু আক্তারের মোবাইলে জিম সেন্টারে ধারণ করা ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তবে সেটি আপত্তিকর ভিডিও নয় বলে জানান ওসি আসলাম হোসাইন।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও চুরি অপরাধে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে মামলা নেয়া হয়েছে। আটকতৃক ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর