বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত লঞ্চ টার্মিনাল ও খেয়া ঘাটে প্রবেশের ক্ষেত্রে ফি আদায়কে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারক কে এম কামরুল কাদের ও বিচারক মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করে।
নৌপরিবহন সচিব, এলজিআরডি সচিব, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ও সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নৌবন্দরে এন্ট্রি ফি আদায় বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। আর রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মোকছেদ আলী ও মো. সারোয়ার আলম।
আইনজীবী মোকছেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সদরঘাটসহ সারাদেশের সব নৌ বন্দরে প্রবেশের সময় শিশু, বৃদ্ধ, ছাত্রসহ সব শ্রেণীর নাগরিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা, কোথাও ৫ টাকা করে এন্ট্রি ফি আদায় করা হয়। বিমানবন্দর, রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালে প্রবেশের জন্য কোনো এন্ট্রি ফি লাগে না।
‘সুতরাং নৌঘাটে কেন এন্ট্রি ফি দিতে হবে। সেখানে যাত্রীরা ভাড়া দিয়েই নৌযানে যাতায়াত করেন। এছাড়া নৌযানগুলো টার্মিনালে ট্যাক্স বা ফি দিয়ে থাকে। এভাবে টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ দুই বার এন্ট্রি টোল আদায় করছে। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেছে।’
২০১৯ সালে জারি করা ওই রুলে বন্দর এলাকায় টার্মিনালে প্রবেশের ফি ৫ টাকা ও ১০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট।