নওগাঁর পোরশায় গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে আবদুল হালিম নামের যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
৩৬ বছর বয়সী ওই যুবককে এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে।
নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন।
ওই সময় জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে দেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ঘাটনগর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ মে নওগাঁর পোরশা উপজেলার খাদখোড়া গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়িতে বেড়াতে যান পূর্বপরিচিত ও দূরসম্পর্কের আত্মীয় আবদুল হালিম। রাত হয়ে গেলে বাড়িতে না গিয়ে থেকে যান ওই যুবক। রাত সাড়ে ১১টার দিকে গৃহবধূর কাছে পানি চান আবদুল হালিম। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় তিনি নিজেই তাকে পানি দিতে যান। ওই সময় গৃহবূকে ধর্ষণ করেন আবদুল হালিম।
পরে গৃহবধূ মামলা করলে আদালত মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানায় রেকর্ডের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ছয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।