মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চলন্ত বাসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গাড়িটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত চালক, হেলপার ও বাসটি আটক করে গজারিয়া থানা পুলিশ।
আটক বাসচালকের নাম রাব্বি। তিনি উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের বাসিন্দা। হেলপার ইয়ামিন একই ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই ছাত্রী জানায়, স্কুল শেষ করে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়িতে ফেরার জন্য মেসার্স আর.এম. ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির একটি মিনি বাসে ওঠে সে। বাসটিতে কোনো নাম্বার প্লেট ছিল না। সে সময় বাসে ছয় থেকে সাতজনের মতো যাত্রী ছিল। বাসটি এক থেকে দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর সে ছাড়া অন্য সব যাত্রী নেমে যায়।
ছাত্রী আরও জানায়, বাসে কোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসের চালক ও হেলপার তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তার হাত ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তাদের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো আচরণ করতে বলে। কথা না শুনলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
চলন্ত অবস্থায় চালক বাসটিকে চর বাউশিয়া এলাকার মাজারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সে জোরে জোরে চিৎকার শুরু করলে ভয়ে তারা তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। পরে একজনের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে সে বাড়িতে ফোন দিয়ে ঘটনা খুলে বললে তার চাচা ৯৯৯ নম্বরে পুলিশের সহায়তা চান।
বিষয়টি সম্পর্কে স্কুলছাত্রীর চাচা বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? বাসটিতে কোনো নাম্বার প্লেট নেই শুনেছি, বাসটির রুট পারমিট তাহলে কীভাবে থাকে?
‘চালক এবং হেলপারের যে বয়স, তাতে মনে হয় তাদের লাইসেন্সও নাই। তাহলে এই ধরনের পরিবহন রাস্তায় কীভাবে চলতে পারে?’
জানতে চাইলে বিআরটিএ মুন্সীগঞ্জের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, ‘এই পরিবহনের গাড়ির রুট পারমিট নাই। দ্রুতই আমরা এই সমস্ত গাড়ির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব।’
গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় বাসটির চালক, হেলপার এবং বাসটি আটক করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। গাড়িটির কোনো নাম্বার প্লেট ছিল না এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বিস্তারিত পরে জানাব।’