বিএনপি ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ওয়ান ইলেভেনের মতো নতুন সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুলদের আন্দোলনের বাজারে ভাটা পড়েছে। এখন তারা ড. ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছেন।
সচিবালয়ে বুধবার জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ ও সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি যৌথভাবে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ড. ইউনুস ইস্যু সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচাল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভণ্ডুল করতে দেশি-বিদেশি একটি চক্র নতুন খেলা শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে এই অশুভ খেলা খেলতে দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছেন। আন্দোলন এখন আর জমে না। আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলেন না তারা। এ অবস্থায় ড. ইউনূসকে নিয়ে আবার নতুন খেলা শুরু করেছেন তারা। বিএনপি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে, যিনি দেশের সুখ-দুঃখে কখনও এগিয়ে আসেন না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ডক্টর ইউনূস ওয়ান-ইলেভেনে কম চেষ্টা করেননি। তখনও তার খায়েশ ছিল, সেই খায়েশ পূর্ণ হয়নি।
‘বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। তারা ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন। মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না এসে দেখুন। হাওয়ায় একটি বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এর সঙ্গে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি।
‘তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যায়, ড. ইউনূস কথা বলেননি। করোনার ভয়াবহতার সময়ও তিনি কোনো কথা বলেননি। যে মানুষ আমার সুখ-দুঃখে নেই, সেই মানুষটির জন্য আমাদের এতো মায়াকান্না কেন?
‘নোবেল পেয়ে কোনো অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন, এটা কোনো দেশের আইনে আছে? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? নোবেল বিজয়ীরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতির স্পেস কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার লাগে, এই অর্থ কোথা থেকে এলো?’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিবসহ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ।
পরে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে শাহাদাৎবরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সবসদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।