নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’স্লোগান দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বরখাস্ত করার ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তলবে করেছে হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
আগামী ১৮ অক্টোবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবীকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ আইনজীবী বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গুরদাসপুর উপজেলার দড়িকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে তার বরখাস্তের আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন। আগামী ১৮ আগস্ট ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।’
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- শিক্ষা সচিব, নাটোর জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
বরখাস্তের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় এমপি আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এর আগে মাসুদুর রহমানেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তিনি দোষ স্বীকার ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ওই শিক্ষকের জবাবের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হলে তিনি তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।
নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ গোলাম নবী বলেন, ‘গুরদাসপুর উপজেলার দড়িকাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমান রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বলে নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ঐ শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। এমপি মহোদয়ের নির্দেশ পেয়ে ঐ শিক্ষককে প্রথমে শোকজ এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’