নির্বাচনের সময়ে সাধারণ মানুষের আয় বাড়ে মন্তব্য করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘নির্বাচন আসলে দেশের মানুষ খুশি হয়; চা-সিঙ্গাড়ার বিক্রি বাড়ে, আনন্দ-উল্লাসে মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।’
তিনি বলেছেন, ‘কিছু কুচক্রী মহল নির্বাচনি আনন্দকে বাধাগ্রস্ত করে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। দেশের মানুষের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও উল্লাসকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা এবারও তৎপরতা শুরু করেছে। মানুষ উন্নয়ন চায়, কোনো সন্ত্রাসী দলকে চায় না।’
সুনামগঞ্জে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বুধবার সকালে কার্প হ্যাচারি পরিদর্শন ও মাছের পোনা বিতরণকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘পথে-ঘাটে, অফিস-আদালতে, রেললাইনে যদি আক্রমণ করা হয় তাহলে অবশ্যই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ক্ষতি হবে। নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নির্বাচনকে টার্গেট করে যদি কেউ নাশকতা সৃষ্টি করে, ভাংচুর-লুটপাটে লিপ্ত হয়, তাহলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে, দেশের উন্নয়ন ক্ষতির মুখে পড়বে।’
এসময় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা প্রয়োজন। জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমেছে। চালের দাম কম আছে, তেলের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। পেয়াজের দাম বেড়েছে, সরকার পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে, দাম বাড়াতে পারবে না কেউ। আগের চেয়ে বাজারের জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম আছে। দাম আরও কমে আসবে, সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে।’
মাছের পোনা বিতরণ শেষে শান্তিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে মহাসিংহ নদীতে রুই জাতীয় ৪২৫ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করেন মন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিপ্তরের সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ারুজ্জামান, সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল করিম, সহকারী পরিচালক সিমা রানী বিশ্বাসসহ অনেকে।