বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হবে হাতিরঝিলের চেয়েও নান্দনিক’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:০৪

প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের খননকাজ সম্পন্ন করেছি।’

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে হাতিরঝিলের চেয়েও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জনান।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘হাতিরঝিলের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল। হাতিরঝিল কিন্তু বদ্ধ জলাশয়। আর এটা (আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল) উন্মুক্ত নদীর অববাহিকা। এখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু নদীর অববাহিকা, সেহেতু এটিকে আরও সুন্দর, আরও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তুলতে আমরা পরিকল্পনা করেছি।’

প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের খননকাজ সম্পন্ন করেছি।

‘আপনারা জানেন, এ নদীর অববাহিকা পূর্ণরূপেই ভরাট করে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু এখন নদী প্রবাহের সে অববাহিকা আবার ফিরে এসেছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো আমরা হাতে নিয়েছি।’

তাপস আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের খননকাজ, বিশেষ করে বেড়িবাঁধের পাশ দিয়ে ঢালের যে অংশ বিভিন্নভাবে দখল হয়েছিল, সে অংশটা আমরা এ মৌসুমে পূর্ণরূপে দখলমুক্ত করতে চাই।

‘এ ছাড়াও আমরা ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করেছি। তারা প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। পরামর্শকরা যেভাবে উপযুক্ত মনে করেন, সেভাবেই নকশা প্রণয়নের জন্য আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। সে কাজটি এখন চলমান আছে।’

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার আশাবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুরূহ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প প্রণয়ন করা, প্রকল্প থেকে অর্থসংস্থান পাওয়া, এরপর দরপত্র করে কাজ শুরু করা সময়সাপেক্ষ কাজ। আমরা আশা করছি প্রকল্প পাস করে কাজ সম্পন্ন করতে হয়তো তিন বছর সময় লেগে যেতে পারে।

‘আমাদের যেসব কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে, সেসব কাজ এগিয়ে নিতে আমরা তা নিজস্ব অর্থায়নেই করে চলেছি। হাতিরঝিলের মতো দীর্ঘ ১০ বছর সময় যেন না লাগে, সে জন্যই আমাদের এ কর্মকৌশল। গত বছর আমরা যখন (বর্জ্য অপসারণ, দখলদার উচ্ছেদ ও সীমানা নির্ধারণ) শুরু করি, তখন কিন্তু নদীর অববাহিকা ছিল না। আমরা সেই কাজটি করতে পেরেছি। এখন পানি প্রবাহ হচ্ছে, পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে।’

ওই সময় ডেঙ্গু নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এটাকে গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। এ মৌসুমের পুরো সময় একই গতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর