বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের আদেশ অনুসরণের নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ১২:৪৫

আপিল বিভাগ আদেশে বলেছে, আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ নিয়ে হাইকোর্টের যে আদেশ রয়েছে, তা যেন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়।

আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আপিল বিভাগ বলেছে, আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ নিয়ে হাইকোর্টের যে আদেশ রয়েছে, তা যেন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের তালিকায় আসবে। এ সময় আদালত একটা গাইডলাইন দিয়েছে। সেটা হলো ১৫ ডিএলসিতে একটি রায় রয়েছে। সেটা ফলো করতে বলেছে আদালত।

‘সেই রায়ের সারাংশ হলো যারা আদালত অবমাননা করবে, তারা বাংলাদেশের কোনো কোর্টে অ্যাপেয়ার করতে পারবে না এবং আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ঘেরাও, পিকেটিং, গেদারিং এবং এমন কোনো কাজ যা আদালতের বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত করে, তা করতে পারবে না। এ গাইডলাইনটা ফলো করতে হবে।’

আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৫ সালের একটি রায় রয়েছে। তৎকালীন বিচারপতি আবদুল মতিন ও বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমানের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। আপিল বিভাগ সেই নির্দেশনা সবাইকে কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্দেশনায় ছিল আদালত প্রাঙ্গণে মাইক ব্যবহার করা যাবে না, লিফলেট দেয়া যাবে না, মিছিল-মিটিং করা যাবে না। বাংলাদেশের সব আদালতের জন্য এটি প্রযোজ্য। কেউ যদি ওই নির্দেশনা অমান্য করে আদালত অবমাননা করে এবং তার কন্টেমপ্ট (আদালত অবমাননা) শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো আদালতের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’

এদিকে আইনজীবী সমিতিতে মিছিল-সমাবেশ করা যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বারের ছাদের নিচে করা যাবে, তবে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।’

আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন আইনজীবী নাজমুল হুদা।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পদত্যাগের দাবি করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এ ছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।

শোক দিবসের ওই আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‘‌সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না। নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?’

দুই বিচারপতির এই বক্তব্যে শপথ ভঙ্গ হয়েছে উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির আইনজীবী।

এ বিভাগের আরো খবর