নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল কুদ্দুসের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বুধবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এমপি আবদুল কুদ্দুসকে গত শনিবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় আইসিউতে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার সকালে লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে থাইল্যান্ডে নেয়ার কথা থাকলেও অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, আবদুল কুদ্দুস এমপির প্রথম জানাজা ৪ নম্বর ন্যাম ভবন জামে মসজিদে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ জানান, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে নাটোরের গুরুদাসপুরের উদ্দেশে দুপুর ২টার দিকে রওনা দেয়া হবে। তারপর তার মরদেহ চাঁচকৈড় বাসায় রাখা হবে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পাইলট স্কুল মাঠ ও দুপুর ১২টায় গুরুদাসপুর স্কুল মাঠ এবং বাদ যোহর বিলশা ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন এমপি আবদুল কুদ্দুস। তিনি নিয়মিত থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে টানা সাত বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। সপ্তম সংসদে তিনি মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন পরপর দুই বার।
তিনি আরও জানান, আবদুল কুদ্দুসের পৈতৃক বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত বিলসা গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন এবং বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে রাজশাহীতে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন। পরবর্তীতে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।