বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্য কারাগারে

  • প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ   
  • ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ২০:০৩

২০১৫ সালে বাদী সাইমা আক্তার সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লাখ টাকা নেন জুয়েল। পরে ওই বছরই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর শরিয়া কাবিনমূলে বাদীকে বিয়ে করেন তিনি। পরে কাবিনের জন্য জুয়েলকে চাপ দিলে বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু যৌতুক দিতে রাজি না হলে শরিয়ামূলে বিয়ের কথা অস্বীকার করে ওই পুলিশ সদস্য।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় জুয়েল মোল্লা নামে এক পুলিশ সদস্যকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ২৫ বছর বয়সী জুয়েল মোল্লা কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্লার ছেলে। তিনি মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে বাদী সাইমা আক্তার সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লাখ টাকা নেন জুয়েল। পরে ওই বছরই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে শরিয়া কাবিনমূলে বাদী সাইমা আক্তার সীমাকে বিয়ে করেন তিনি। পরের বছর জুয়েলকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আসামি। কিন্তু যৌতুক দিতে রাজি না হলে শরিয়ামূলে বিয়ের কথা অস্বীকার করে ওই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৬ জুলাই গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা করেন বাদী।

গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শুনানি শেষে আদালত পুলিশ সদস্য জুয়েল মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও অপর তিন জনকে খালাস দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর